Header Ads

পৃথিবীর সৃষ্টির রহস্য

পৃথিবীর সৃষ্টির রহস্য পর্ব - ২


আজ আমরা যে পৃথিবীতে বসবাস করি তা কিন্তু সূচনা লগ্নে বসবাসের উপযগি ছিলনা ।
সূনা লগ্নে আমাদের অতিপ্রিয় এই পৃথিবী ছিলো আতিকায় এক বিশাল গ্যাসেরপিন্ড ক্রমান্বয়ে শীতল হয়ে গ্যাসীয় পৃথিবী তরল রুপ ধারন করে। তরলের যে অশটুকু ঘন এবং জনে ভারি সেটুকু চেল গেলো কেন্দ্রের দিকে। তার উপরে রইল হাল্কা স্তর সবচেয়ে উপরের স্তর জমে সরের মত ঢেকে ফেলল গোটা পৃথিবীকে । আর এভাবে সৃষ্টি হল পৃথিবীর ভূতক। শিশু পৃথিবী আরো ঠাণ্ডা হয়ে ভূতক কুচকে গিয়ে সৃষ্টি হল বিভিন্ন প্লেটের। এ প্লেট গুল একে অন্যের সাথে ধাকা খেয়ে সৃষ্টি করল বিভিন্ন পাহাড় পরবত পৃথিবীর উপরি ভাগ শীতল হলেও অভ্যন্তরীন ভাগ তখনো প্রচন্ড গরম ছিল যা কিনা টগবগ করে ফুটছিল তাপ ছেড়ে দেয়ার সময় পাহাড়ের মুখ দিয়ে জ্বলন্ত আগুনের শিখা ও বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ বেরিয়ে আসতে লাগল
আর এই গ্যাসীয় পদার্থ তৈরি করল বায়ুমণ্ডলের উক্ত বায়ুমণ্ডলের বাতাসে তখন ছিল হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, মিথেন, অ্যামোনিয়া ছাড়া আরো প্রচুর জলীয় বাষ্প। পৃথিবী তাপ হারিয়ে শীতল হবার সময় এই জলীয় বাষ্প জমে পুরু মেঘের আস্তরণের সৃষ্টি করে এই মেঘ এত পুরু ছিল যে সূর্যের আলো মেঘ ভেদ করে পৃথিবীতে আস্তে পারত না এর ফলে গোটা পৃথিবী ছিল অন্ধকার আচ্ছন্ন

শুরুর দিকে পৃথিবীর মাটি ছিল খটখটে শুকনো, এক ফোঁটাও পানি ছিল না প্রথম প্রথম অবশ্য জলীয় বাষ্প জলকণা রুপে পৃথিবীতে ফিরে আসলেও তা আবার প্রচণ্ড গরমে বাষ্প হয়ে বায়ুমণ্ডলে ফিরে গেছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটেছে।




পৃথিবী আরও তাপ হারালো এবং আরও শীতল হতে লাগল। তারপর পৃথিবী আরও শীতল হয়ে এ রুপ হল যে জলকনা আর বাষ্প হয়ে উড়ে গেল না। পুরু মেঘের আস্তরণ ভেদ করে শুরু হল বৃষ্টি অবিরাম চলতে লাগল সেই মহা বৃষ্টিঅবিশ্রান্ত ধারায় মুষলধারে বৃষ্টি পড়ল বছরের পর বছর।  টলটলে পানিতে ভিজে গেল পৃথিবীর মাটি । জন্ম নিল হ্রদ, সাগর, মহাসাগর এ ভাবে কেটে গেল লক্ষ লক্ষ বছর। একদিন থামল সেই বৃষ্টিধরা পাতলা হয়ে এল পৃথিবীর আকাশ সূর্যের আলো এসে পড়ল পৃথিবীর বুকে পৃথিবীর চেহারা তখনও ভয়ঙ্কর চারিদিকে প্রচণ্ড ঝড় বইছে । আগ্নয়গিরির মূখ থেকে বেরিয়ে আসছে জ্বলন্ত আগুনের শিখা, সমুদ্র ফুটছে টগবগ করে

No comments

Powered by Blogger.